The Gundi Wife ( গুন্ডি বউ )
The Gundi Wife ( গুন্ডি বউ )
লেখক........ নিয়ান আহমেদ
মেয়ে দেখতে এসেছি, দুই ঘন্টা ধরে বসে
আছি মেয়ের বাড়িতে ৷ মেয়ে আসার
কোনো খবরই নাই ৷ মেয়ে আসতে
আসতে আমার পরিচয় দিয়ে দেই ৷ আমি
নিয়ান আহমেদ...
পড়ালেখা শেষ করে একটা প্রাইভেট
কম্পানিতে চাকরি করছি ৷ অবশ্য বাবার
ইচ্ছা ছিল আমি পড়ালেখা শেষ করে
বব্যসা দেখাশুনা করি ৷ কিন্তু আমার ইচ্ছা
আমি চাকরি করব ৷ তাই বাবই আমাকে
বাবার পরিচিত একটা প্রাইভেট কম্পানিতে
ডুকিয়ে দেন ৷ 25 হাজার টাকা বেতন ৷
অবশ্য আমার এখন বিয়ে করার ইচ্ছা ছিল
না কিন্তু আম্মুর জুড়াজুড়িতে বিয়ে করতে
হচ্ছে ৷ আপনাদের সাথে কথা বলতে বলতে
মেয়েও চলে এসেছে ইয়া বড় একটা ঘুমটা
দিয়ে এসেছে ৷ মেয়েটা আম্মুর কাছে গিয়ে
বসল ৷ আম্মু ঘুমটা সরালো
'মাশাআল্লাহ'
ঘুমটা সরানো মাত্রই আমার মূখ দিয়ে
উপরের কথাটি বেরিয়ে আসল ৷ আমার
তো মাথা ঘুড়ে পড়ে যাওয়ার মত অবস্থা ৷
এ কে মানুষ নাকি পরি?
এত সুন্দর মানুষও আছে নাকি এই
পৃথিবীতে?
আমি হা করে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে আছি
৷
হঠাৎ আম্মু আমাকে ধাক্কা দিয়ে বলল...
<কিরে এমন হা করে তাকিয়ে কি দেকিস?
আমি: .........
আম্মু: পছন্দ হয়েছে বউমা কে?
আমি: (এখনও বিয়েই হয় নাই আম্মু বউমা
বানিয়ে ফেলেছে)
আম্মু: কিরে কি ভাবছিস?
বল বউমা কে পছন্দ হয়েছে কিনা?
আমি: মাথাটা উপর নিছ করে হ্যা বললাম ৷
সবাই একসাথে বলে উঠল !!!
'আলহামদুলইল্লা'
হঠাৎ মেয়েটা তার বাবাকে বলল...
বাবা আমি উনার সাথে একা কিছু কথা
বলেতে চাই ৷
মেয়ের বাবা: আচ্ছা মা জামাই বাবাজি কে
তর রুমে নিয়ে যা ৷
মেয়েটা আমাকে ইশারায় বলল আসুন ৷
মেয়েটা সিরি বেয়ে উপরে উঠতে লাগল ৷
আমিও মেয়েটার পিছে পিছে উপরে
উঠতেছি ৷
মেয়েটা একটা রুমে ডুকে গেল আমিও
ডুকলাম মেয়েটাডুকলাম মেয়েটাডুকলাম মেয়েটাডুকলাম মেয়েটার পিছে ৷
৷৷৷
আমি রুমে ডুকা মাত্রই ঠাসস করে দরজা
টা লাগিয়ে দিল ৷
আমি ভয় পেয়ে বললাম, দদরজা লাগালেন
ককেন?
মেয়েটা: আমার দরজা আমি লাগাব তাতে
তর বাপের কি...
আমি: এ তো পুরা গুন্ডি, নিচে কত সন্দর
মাথা নিচু করে কথা বলল, উপরে এসে তো
পুরা রূপটাই বদলে পেলল...(আস্থে আস্থে
বললাম)
মেয়েটা: কি আমি গুন্ডি, দেখাচ্ছি তকে
আমি গুন্ডিগিরি..
আরে আমি তো আস্থে আস্থে বললাম
মেয়েটা শুনল কি করে ৷
মেয়ে হুট করে একটা চাকু নিয়ে এসে আমার
গলায় ধরল ৷
আমি: সরি সরি পিল্জ চাকুটা সরান আর
বলব না ৷
মেয়েটা: সরাতে পারি, কিন্তু আমার একটা
শর্ত আছে...আমি যা বলব তাই করতে হবে
৷
আমি: আপনি যা বলবেন আমি তাই
করব...পিল্জ চাকুটা সরান ৷
মেয়েটা: সত্যি তো যাই বলব তা করবে?
আমি: হুম করব ৷ বলেন কি করতে হবে?
মেয়েটা: তুমি এখন নিচে গিয়ে বলবে , তুমি
বিয়েটা আরও দুই বছর পর করতে চাউ ৷
আমি: কেন দুই বছর পরে কেন? তার চেয়ে
আমি গিয়ে বলি আমাদের বিয়েটাই বাদ
দিয়ে দিতে ৷
মেয়েটা: একদম না ! আমি যা বলছি তাই
কর...না হলে কিন্তু চাকু দিয়ে গলা আলাদা
করে ফেলব ( চাকুটা আমার গলার আরও
কাছে নিয়ে )
আমি: ঠিক আছে বলব ৷ চাকুটা সরান
পিল্জ আমি নিচে যাই ৷
মেয়েটা; (আমার কপালের ঘাম মুছে দিয়ে
কপালে একটা চুমু খেয়ে বলল) ওকে যাউ ৷
আমি মেয়েটার আচরন দেখে অবাক হয়ে
গেলাম ৷
সত্যি মেয়েরা বহুরূপি ৷ মিনিটে মিনিটে রূপ
পালটায় ৷
যাই হোক,
নিচে নেমে আসলাম...
নিচে এসে দেখি সবাই কি যেন কথা বলছে ৷
আমি সামনে যেতেই আম্মু বলল, আয় বস
এখানে তর জন্যই অপেক্ষা করছিলাম ৷
আম্মু বসব পরে তার আগে আমি
তোমাদের কিছু কথা বলতে চাই ৷
আম্মু: বল কি বলবি?
আমি: আম্মু আমি এখন বিয়ে করতে পারব
না ৷ না মানে আমার দুই বছর সময় লাগবে ৷
আব্বু: দুই বছর সময় নিয়ে তুই কি করবি ৷
আর তর তো পড়ালেখা শেষ ভাল একটা
চাকরিও করছিস ৷
আমি: আমি না অই গুন্ডি মে.....
আমাকে পুর কথাটা বলতে না দিয়ে মেয়েটা
এসে বলল, আসলে আমরা দুজন দুজনকে
জানতে চাইছিলাম ভাল করে বুঝতে
চাইছিলাম দুজন দুজন কে ৷
মেয়ের বাবা: তোমরা যা ভাল বোঝ তাই
কর ৷ আমাদের আর অমত করার কি
আছে...কি বলেন বিয়াই মশাই?
আব্বু: আচ্ছা ঠিক আছে ৷ আমরা না হয়
আংটি পড়িয়েই যাই ৷
মেয়েটাকে আং পড়িয়ে বাড়িতে চলে
আসলাম ৷
এসেই বিচানায় পড়ে দিলাম এক ঘুম ৷
রাত 10:34 ঘুম থেকে উঠলাম ৷
মোবাইল হাতে নিয়ে দেখি অচেনা নাম্বার
থেকে 28 টা মিডস কল ৷
28 টা মিডস কল দেখে চমকে উঠলাম ৷ তাও
আবার অচেনা নাম্বার থেকে ৷
দেখত দেখতে আবারও মোবাইলটা বেজে
উঠল ৷
ফোনটা রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে
মেয়েলি কন্ঠ ভেসে আসছে ৷
মেয়েটা< অই ফোন ধরতে এত সময় লাগে
কেরে তর?
মরে গেছিলি নাকি?
আমি< কে আপনি? আর আমাকে এভাবে
ঝারি দিয়ে কথা বলছেন কেন?
মেয়েটা< আমি তর বউ ৷
আমি< আরে এখনও বিয়েই করি নাই বউ
আসল কোথায় থেকে?
মেয়েটা< তর হবু বউ ! 'আহিয়া'
আমি< এখন আবার আহিয়াটা আবার কে?
মেয়েটা< তরে যদি এখন আমার হাতের
নাগালে পাইতাম থাপরাইয়া তর নাগালে পাইতাম থাপরাইয়া তর দাত সব
ফালাই দিতাম ৷
কিছুক্ষন আগে যাকে আংটি পড়িয়ে
গেছিস ! আমি সেই আহিয়া ৷ (রাগে কটকট
করে বলল)
আমি< অহহ...আপনি? আজকের সেই
গুন্ডি আন্টিটা?(রাগানোর জন্য বললাম)
আহিয়া< কিহ আমি গুন্ডি ৷ আর আমি তর
আন্টি লাগি?
আমি< তাহলে কি? নানি?
আহিয়া< দেখ আমাকে আর রাগাবি না ৷
আমার সারা শরিল রাগে জ্বলছে ৷ এখন
যদি আমি তকে আমার হাতের কাছে
পাইতাম তর কি অবস্থা যে করতাম ৷
বিয়ের পর বুঝবি কত ধানে কত চাউল !!
আমি< সেটা না হয় বিয়ের পরই দেখা যাবে ৷
এখন বলুন আপনি আমাকে সব সময় তুই
তুকরি করে ডাকেন কেন?
একটু ভাল করে কথা বলতে পার না?
আহিয়া< আচ্ছা ঠিক আছে ভাল করে কথা
বলছি ৷ তুমিও ভাল করে উত্তর দিবে ৷
আমি< ok...
আহিয়া< রাতের খাবার খাইছ বাবু?
আমি< না আম্মু এখন খাই নাই একটু পরে
খাব ৷
আহিয়া< কি? আমি তর আম্মু?
আমি< তুমই তো আমাকে বাবু বললে ৷
তাই আমিও তোমাকে আম্মু বললাম ৷
আহিয়া< তরে আমি পরে দেখে নেব ৷
বলেই আহিয়া ফোনটা কেটে দিল ৷
!!!
আহিয়াকে প্রথম দেখাতেই ভালবেসে
ফেলি ৷ মেয়েটা সত্যিই অসাধারণ ৷
বাইরে থেকে গুন্ডিগিরি দেখায় ৷ মেয়ে মন
অনেক ভাল ৷ আম্মুর কাছ থেকে শুনলাম
মেয়েটা নাকি পাচঁ ওয়াক্ত নামাজও পড়ে ৷
ঘড়ের বাইরেও বেশি বের হয় না ৷ কলেজে
গেলে বুরকা পড়ে যায় ৷
কিন্তু আহিয়া আমার সাথে এরকম
গুন্ডিগিরি করে কেন?
আম্মু তো বলেছিল মেয়েটা একেবারে
সহজ সরল ৷
কারও সাথে প্রয়োজন ছাড়া বেশি কথা
বলে না ৷
আমার বেপারে সব দিক দিয়ে বিপরীত কেন
মেয়েটা? আর আমার নাম্বার পেল
কোথায় থেকে ৷
আমার সম্পর্কে এত কিছু কি করে জানে
এই মেয়েটা?
সব মিলিয়ে একটা রহস্য তো আছেই ৷
রহস্যটা কি সেটা আমাকেই খুজে বের
করতে হবে ৷
.
রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে শুয়ে মোবাইলে
গেইম খেলতেছি ৷
হঠাট মোবাইলটা বেজে উঠল !!!
আহিয়া আবার ফোন করছে ৷ খুশি হয়ে
ফোনটা রিসিভ করলাম...
আহিয়া< এই পিচ্চি কি করছিস?
আমি< এই মাইয়া আমি ছোট বাচ্চা নাকি
যে তুমি আমাকে পিচ্চি ডাকছ?
আহিয়া< তুই তো নিজেই তর ফেইসবুক
আইডিতে নিকনেইম পিচ্চি দিয়ে রাখছস ৷
আর আমার Friend Request Acsept
করছিস না কেন? সেই দুপুরে রিকুএস্ট
দিয়েছিলাম এখন একসেপ্ট করার কোনো
নাম গন্ধই নাই ৷
আমি< আরে আজকে সারাদিনে আমি
একবারও fb তে ডুকি নাই ৷
fb না ডুকে আমি জানব কি করে যে তুমি
আমাকে রিকু পাঠিয়েছ ৷
আহিয়া< আচ্ছা ঠিক আছে বুঝলাম ৷ এখন
তর আইডির পাসওয়ার্ড দে ৷
আমি< পাসওয়ার্ড দিয়ে তুমি কি করবে?
আহিয়া< দিতে বলছি দে ৷ এত কথা বলছিস
কেন?
আমি< আমার নাম্বার এর প্রথম ছয়টা
সংখ্যাই আমার পাসওয়ার্ড ৷ আর শুন
আমার আইডিতে ডুকে উলটা পালটা কিছু
করবে না কিন্তু ৷
আহিয়া< উলটা পালটা কিছু করব কি না
সেটা তুই সাকালেই দেখতে পারবি ৷
এখন ঘুমিয়ে পড় বেশি রাত জাগলে শরির
খারাপ করবে ৷
আমি< হুমম ! তুমি ঘুমাবে না?
আহিয়া< নাহ...আমার কিছু কাজ আছে
কাজটা সেরেই একেবার ঘুমাব ৷
আমি< আমি রাত জাগলে আমার শরির
খারাপ করবে ৷ তুমি রাত জাগলে তোমার
শরির খারাপ করবে নাহ???
আহিয়া< আমাকে নিয়ে তকে ভাবতে হবে
নাহ ৷ তর ঘুম তুই ঘুমা ৷
আমি< okk...তাহলে একটা পাপ্পি দেও ৷
পাপ্পি দিলে ঘুমিয়ে পড়ব ৷
আহিয়া< ইইইহহ শখ কত ৷ তকে আমি
সামনে পেলে থাপরাইয়া তর গল লাল করে
ফেলব ৷ তুই......
আহিয়া আর কিছু বলবার আগেই আমি
ফোনটা কেটে দিলাম ৷
বাপরে বাপ কি গুন্ডি মাইয়া ৷ শুধু একটা
পাপ্পি চাওয়াতে এত কিছু শুনিয়ে দিল ৷
....
মেয়েটা আমার সাথে এরকম করে কেন??
অবশ্য এই মেয়েটার এইসব পাগলামী গুলা
একটুও খারপ লাগে না আমার ভালই লাগে ৷
.....
মেয়েটার কথা ভাবতে ভাবতে যে কোন
সময় ঘুমিয়ে পড়েছিলাম বুঝতেই পারিনি ৷
.....
সকালে ঘুমু থেকে উঠে মোবাইল হাতে
নিয়ে ফেইসবুকে ডুকলাম ৷
ফেইসবুকে ডুকেই চমকে উঠলাম...
একি আমার ফেইসবুক এর এই অবস্থা_______
আমার প্রোফাইলে ডুকে আমি অবাক হয়ে গেলাম ৷
এই সব পোষ্ট কোথায় থেকে আসল?
আমি ত এইগুলা পোষ্ট করি নাই ৷
নিশ্চই এইসব অই গুন্ডি মেয়েটার কাজ ৷
একটা পোষ্ট এমন....!
'সরি বন্ধুরা হঠাৎ করেই বিয়েটা করে ফেললাম ৷
তোমাদের কাউকে জানাতে পারলাম না ৷
Marrid with. Ahiya Rahman(পিচ্চির বউ)
ইয়া আল্লাহ এই মেয়ে এইসব কি পোষ্ট করছে ৷
আমার সুন্দরী সুন্দরী ফেসবুক গার্লফ্রেন্ডদের কি আমার সুন্দরী সুন্দরী ফেসবুক গার্লফ্রেন্ডদের কি হইব?
পোষ্টে দেখছি লাইক থেকে Angry রিয়েক্টই বেশি পড়ছে ৷
ফ্রেন্ড লিস্টে ডুকে খেলাম আরেকটা ধাক্কা ৷
আমার তো 1420 জন ফ্রেন্ড ছিল ৷ এখন 780 টি হল কি করে??
Block লিস্টে ডুকে দেখলাম ,সব মেয়ে Block খেয়ে উরাউরি করছে ৷
মেয়েটা এক দিনেই আমার ফেসবুক এর রূপ বদলে দিল ৷
রাগের ছুঠে ফেসবুক ডিএকটিভ করে বেড়িয়ে আসলাম ৷
মেয়েটাকে ফোন দিলাম ৷ ফোন ধরার সাথে সাথেই বললাম...!
আমি< এই মেয়ে তুমি আমার ফেসবুক এ কি অবস্থা করছ??
তোমাকে বলেছিলাম না আমার id তে ডুকে উলটা পালটা কিছু না করতে ৷
তুমি ত আমার সব শেষ করে দিলে ৷ আমার সব সুন্দরী সুন্দরী গালফ্রেন্ডদের Block মারছ ৷
এই কথাটি বলেই জিব্বাহতে খামর দিলাম ৷
একি বললাম আমি?
এখন গুন্ডিটা তো আমায় আস্ত খেয়ে ফেলবে ৷
আহিয়া< এই কি বললি তুই? তোর গালফ্রেন্ডও আছে??
আমি< আরে গালফ্রেন্ড বললাম কোথায়? বললাম ফ্রেন্ড ৷
আহিয়া< আমারে কি বোকা পাইছসস নাকি? যে তুই যা বলবি আমি তাই শুনব ৷ বল তর গালফ্রেন্ড কয়টা আছে?(কান্না কান্না কন্ঠে)
আমি< সত্যি বলব না মিথ্যা বলব ?
আহিয়া< সত্যি বলবি ৷ মিথ্যা বললে হাত পা ভেঙে বস্তায় ভরে নদীতে ফেলে দিব ৷
আমি< ও মাগো এ তো গুন্ডি ৷ আচ্ছা হাত পা ভাঙতে হবে না সত্যিটাই বলছি ৷
আহিয়া< হুমম বল ৷
আমি< আমতা আমতা করে বললাভ,
না মানে আসলে তিনটা আছে ৷
আহিয়া< কিহহ...তর এত্তগুলা গলফ্রেন্ড আছে?(এবার মনে হয় কৃদেই দিছে)
আমি< এত্তগুলা কোথায় মাত্র তিনটা ৷ আর এদেরকে আমি ভাল টাল বাসি না ৷ ওরা শুধু ফেসবুক গালফ্রেন্ড ৷
এদের সাথে শুধু টাইম পাস করি ৷
আহিয়া< টাইম পাস না? তর টাইম পাস করা আমি বের করব বিয়ের পর ৷(রাগী কন্ঠে)
আমি< আচ্ছা আহিয়া তুমি কি আমাকে ভালবাস?(আমি জানি আহিয়া আমাকে ভালবাসে ৷ তবুও ওর মূখ থেকে শুনার জন্য বললাম)
আহিয়া< তকে আমি ভালবাসতে যাব কেন?(মিথ্যে বলল)
আমি< অ আচ্ছা তাহলে আমি আমার গালফ্রেন্ডদের কাছে যাই ৷
আহিয়া< টেঙ(পা) ভেঙে ফেলব ৷
আমি< আমার পা ভাঙলে ত তোমাকেই সবাই টেঙ ভাঙা জামাইর বউ বলবে ৷
আহিয়া< সেটা পরে দেখা যাবে ৷
আর শুন ,
আজ থেকে তুই আর একটা মেয়ের সাথেও কথা বলবি না ৷
আমি< হুমম !
আহিয়া< কোনো
মেয়ের দিকে তাকাবি না, ওকে...!আহিয়া< ফেসবুকে কোনো মেয়ের ছবিতে
লাইক দিবি না, ওকে...!!
আমি< হুমমম....
আহিয়া< দেখাবিও না, ওকে..!!
খালি জিরো ডট ফেসবুক চালাবি,
ওকে..!!
আমি< হুমমম আচ্ছা..
মেয়েটার এইসব প্রশ্ন শুনে মুসকি মুসকি
হাসছি আর উত্তর দিচ্ছি ৷
আহিয়ার সাথে কথা বলা শেষ করে অফিসে
চলে গেলাম ৷
পরেরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই চমকে
উঠলাম ৷
একি এই মেয়ে এখান কি করছ?????
একি আহিয়া একানে কি করছে?
সপ্ন দেখছি না তো? আহিয়ার হাতে জুরে
একটা চিমঠি কাটলাম ৷
আউউউচ....(আহিয়া ব্যাথা পেয়ে চিৎকার
দিয়ে উঠল)
আহিয়া< এই তুই আমাকে এত জুরে চিমঠি
কাটলি কেন?
আমি< আসলে আমি মনে করছি আমি
সপ্ন দেখতেছি ৷ তাই সপ্ন না বাস্তব তা
বুঝার জন্য চিমঠি কাটলাম ৷
আহিয়া< তাই বলে এত জুরে চিমঠি দিতে
হবে? আর আমাকে কেন চিমঠি কটলি
নিজেকে নিজে চিমঠি কেটে দেখতে পারলি
না?
আমি< sorry
আহিয়া< আচ্ছা এখন উঠে ফ্রেশ হ ৷
আমরা আজ ঘুড়তে বের হব ৷
আমি< না আমি যাব না ৷ আমার অনেক ঘুম
পাচ্ছে আমি ঘুমাব ৷ যাও তুমি বাড়িতে যাও
৷সপ্তাহে একদিন ছুটি পাই এই একটা দিনও
কি ভাল করে ঘুমাতে পারব না নাকি?
পিল্জ তুমি বাড়ি যাও অন্য একদিন ঘুরতে
যাব ৷
আহিয়া< তুই উঠবি কিনা বল ৷ না আমার
অন্য কিছুর ব্যবস্তা করতে হবে?
আমি< তুমি যা করার কর ৷ কিন্তু আমি
উঠব না ৷
আমি এই কথাটি বলার সাথে সাথেই মেয়েটা
হন হন করে রুম থেকে বেরিয়ে গেল ৷
আমি আবার বিছানায় গা এলিয়ে দিলাম ৷
ঘুমে চোখ লেগে আসছিল এমন সময়
আমার শরিরে গরম কিছু অনুভব করলা ৷
লাফ দিয়ে উঠলাম ৷
একি আমার শরির পানি আসল কি করে
তাও আবার গরম পানি
৷
উপরে ছাদের দিকে তাকালাম ৷ না ছাদটা
ঠিকই আছে ৷
আর ছাদ ভাঙারও কথা না ৷
পাশে তাকিয়ে দেখি আহিয়া হাতে একটা
বালতি নিয়ে দাড়িয়ে আছে ৷
আমি আর বুঝতে বাকি রইল না এই কাজটা
মেয়েটারই ৷
আমি< এই মেয়ে আমার শরিরে গড়ম পানি
ডাললে কেন?
আহিয়া< বেশ করেছি ৷ আর এখন যদি না
উঠিস তাহলে ফুটানো গড়ম পানি এনে
ঢালব ৷ এখন তো শুধু হালকা গড়ম পানি
ঢাললাম ৷
....
এই গুন্ডি মেয়েটাকে দিয়ে বিশ্বাস নাই
সত্যি সত্যি যদি ফোটানো গড়ম পানি
এনে দেয় ৷
তার চেয়ে বরং উঠে পরি ৷
আচ্ছা আমি উঠছি তুমি বাইরে যাও ৷
আহিয়া< কেন আমি বাইরে যাব কেন?
আমার সামনেই তুমি ওয়াস রুমে যাও ৷
আমি< না তোমার সামনে উঠতে পারব না
৷ সমস্যা আছে...
আহিয়া< কিসের সমস্যা ?
আমি< আসলে আমার পড়নে ছোট পেন্ট
পরা( আন্ডার ওয়ার্ড আরকি) এই পেন্ট
নিয়ে আমি তোমার সামনে উঠতে পারব
না ৷(এতক্ষন আমার শরির একটা পাতলা
চাদর দিয়ে ডাকা ছিল)
ওঠে পর আমার সামনে লজ্জা কিসের ৷
তাছাড়া কিছুদিন পর তো আমাদের বিয়ে
হবেই ৷ তাই লজ্জা করার কিছু নাই ওঠে পর
৷
আমি< নাহ...আমি ওঠতে পারব না আমার
লজ্জা করে ৷
আহিয়া< কিহহ...তুই উঠবি না ?
কথাটি বলেই আহিয়া আমার চাদর ধরে
জুরে টান দিল ৷
চাদরটা আমার শরির থেকে সরে গেল ৷
ইয়া আল্লাহ এই মেয়ে একি করল ৷ আমি
তো লজ্জায় মরে যাচ্ছি ৷ মেয়েটা দেখছি
কিত কিতায়ে হাসছে লজ্জা সরম নাই নাকি
কিছু মেয়েটার ৷
আমি আমার বেডের এদিক ওদিক খুজে কিছু
না পেয়ে দিলাম এক দৌর ওয়াস রুমের
দিকে ৷
....
কিছুক্ষন পর ফ্রেশ হয়ে তুয়ালে জরিয়ে
বের হলাম ওয়াস রুম থেকে ৷
মেয়েটাকে দেখতে পারছি না কোথায় গেল?
মনে হয় আম্মুর কাছে গেছে ৷
আমি দরজা আটকিয়ে এসে দেখি আমার
বিছানায় নীল একটা শার্ট আর কালো
একটা পেন্ট রাখা আছে ৷
মনে হয় আহিয়া রেখে গেছে ৷
তুয়ালে খুলে পেন্টটা হাতে নিলাম ৷
হঠাৎ মেয়েটা বেলকুনি থেকে বেরিয়ে আসল
৷
আমি জুরে চিৎকার দিয়ে উঠলাম আহিয়া ও
আমার সাথে চিৎকার দিয়ে উঠল ৷ আমি
তাড়াতারি করে আবার তুয়ালে জরিয়ে
নিলাম ৷ কি লজ্জা কি লজ্জা সব দেখে
ফেলল মেয়েটা ৷
আমি< এই মেয়ে তুমি এখানে কি করছিলে?
আহিয়া< আমি বেলকুনিতে দাড়িয়ে ছিলাম
৷(আহিয়া লজ্জা পেয়েছা)
আমি< ঠিক আছে তুমি আম্মুর রুমে যাও
আমি খাপর বদলিয়ে আসছি ৷
আহিয়া< হুমম আচ্ছা...! বলে আহিয়া
চলে যাচ্ছিল ৷
আমি< এই মেয়ে দাড়াও ৷
আহিয়া< কি?
আমি< কিছু দেখ নাই তো?
আহিয়া< নাহহ কিচ্ছু দেখি নাই ৷
বলেই আহিয়া একটা হাসি দিয়ে রুম থেকে
বেরিয়ে গেল ৷
৷৷৷
আমি রেডি হয়ে আহিয়াকে নিয়ে বাড়ি
থেকে হলাম ৷
গাড়িতে উঠতে যাব তক্ষনি আহিয়া বলল,
আহিয়া< আমরা গাড়িতে যাব না রিক্সা
দিয়ে যাব ৷
আমি একটা রিক্সাকে ডেকে রিক্সাতে
উঠলাম ৷
মেয়েটার সাথে রিক্সায় বসতে কেন জানি
ভয় ভয় করতেছে (গুন্ডি মেয়ে তো তাই
মনে হয় এরকম ভয় করতছে)
আমি এক সাইডে চেপে বসলাম ৷
আহিয়া উঠল...আমাকে বলল,
আহিয়া< এত চেপে বসছিস কেন পরে যাবি ৷
এই বলে আহিয়া আমাকে নিজের আরও
কাছে নিয়ে গেল ৷
রিক্সা আপন গতিতে চলতে তাকল ৷
দুজন চুপচাপ বসে আছি ৷
আমি বললাম,
আমরা কোথায় যাচ্ছি আহিয়া?
আহিয়া< গেলই দেখতে পারবি ৷
আমি< আচ্ছা ৷ আমি আবার চুপ হয়ে
গেলাম ৷
20 মিনিট পর রিক্সা একটা কলেজের
সামনে এসে থামল ৷
একি মেয়েটা আমাকে কলেজে নিয়ে এল
কেন?????
এই মেয়ে তুমি আমাকে কলেজে নিয়ে এলে
কেন?
আহিয়া < কলেজের ভিতরে গেলে বুঝতে
পারবি কেন নিয়ে এসেছি ৷ এখন এত কথা না
বলে রিক্সা থেকে নাম ৷
আমি রিক্সা থেকে নেমে ভাড়াটা দিয়ে
মেয়েটাকে বললাম চল ৷
আহিয়া আমার হাতে হাত দিয়ে টানতে
টানতে বলল আয় ৷
..
মেয়েটার সাথে কলেজে ডুকতেই কোথামেয়েটার সাথে কলেজে ডুকতেই কোথায়
থেকে যেন অনেক গুলা মেয়ে এসে আমাদের
সামনে দাড়ালো ৷
সবার মধ্যে থেকে একটা মেয়ে বলে উঠল,
কিরে আহিয়া শেষ পর্যন্ত তর বরকে
আমাদের সামনে নিয়েই আসলি ?
আমি বললাম, আসলে আপু আপনি ভূল
করছেন আমি ওর বর না ৷ আমাদের এখনও
বিয়ে হয় নাই ৷ আমি ওর হবু বর ৷
আরেকটা মেয়ে বলল, বিয়ে হয় নাই তো
কি হইছে একদিন তো ওর বর হবেনই ৷
আগে থেকে ডাকলে সমস্যা কি?
অন্য আরেকটা মেয়ে বলল, দুলাভাই
আপনি কিন্তু অনেক কিউট ৷ আপনার মত
একটা বর যদি আমার হতো ৷
আহিয়া< এই হিয়া ওর দিকে একদম চোখ
দিবি না ৷ ও শুধু আমার, আর কারও হতে
দিব না ৷
আহিয়ার কথা শুনে বুঝতে পারলাম মেয়েটা
আমাকে সত্যিই অনেক ভালবাসে ৷
তাই এই সুজুগে মেয়েটার সাথে কিছুক্ষন
মজা নিয়ে নেই ৷
আমি হিয়াকে উদ্দেশ্য করে বললাম,
আপনিও কিন্তু অনেক কিউট ৷ আপনার
মত যদি আমার
একটা বউ হত কতই না ভাল হত ৷ আমার
এই কথাটা শুনে সবাই জুরে হাসতে লাগল ৷
আর এদিকে আহিয়া তো তেলে বেগুনে
জ্বলছে ৷
আহিয়া< এই তুই কি বললি ? (আমার কলার
চেপে ধরে )
সত্যি করে বল !
হিয়া কি আমার থেকেও সুন্দর?
আমি< আরে সবার সামনে আমার মান
ইজ্জত সব পালস্টিক করে ফেলছ তো !
ছাড় আমার কলার ৷
আহিয়া< আগে বল কে বেশি সুন্দর? আমি
নাকি হিয়া ?
আমি< সত্যি বলছি তুমি ওর থেকে অনেক
সুন্দর ৷
আহিয়া< তাহলে বললি কেন যে হিয়া তর
বউ হলে ভাল হত?
আমি< আরে এটা তো মজা করে বলছি ৷
আহিয়া< সত্যি তো?
আমি< সত্যি সত্যি সত্যি তিন সত্যি ৷
কলার ছাড় পিল্জ সবাই হাসছে ৷
আহিয়া< যা ছাড়লাম ! এরকম মজা
ভবিষ্যতে আর করলে তর খবর আছে ৷
এদিকে আহিয়ার বান্ধবীরা আহিয়ার এই
রকম কর্মকান্ড দেখে থ হয়ে গেছে ৷
যে মেয়েটা ছেলেদের সাথে কথা বলা তো
দূরে তাক ছেলেদের সামনে গেলেই হাত পা
কাপত ৷
সেই মেয়েই আজ একটা ছেলের কলার চেপে
ধরল ৷
সবাই অবাক হয়ে দাড়িয়ে রইল !!
রিয়া< কিরে আহিয়া তর এত সাহস আসল
কোথায় থেকে?
আহিয়া< অ আমার হবু বর ভুল করলে তো
শাসন করবই ৷ এখানে সাহস এর কি আছে?
রিয়া< তুই না বলছিলি তর ছেলেদেরকে
অনেক ভয় লাগে ৷
আহিয়া< গুন্ডা ছেলেদের তো ভয় লাগেই ৷
তাই বলে কি নিজের বরকেও ভয়
পেতে হবে নাকি?
রিয়া< হুমম তাও ঠিক !!
আহিয়া< আমরা এখন যাই ৷ অন্য
আরেকদিন ওকে নিয়ে আসব কলেজে ৷
সবার থেকে বিদায় নিয়ে আহিয়াকে ওর
বাড়ি পৌছে দিয়ে আমি বাড়িতে চলে
আসলাম ৷
....
আহিয়ার শাসন আর খুনশুটিতে কেটে গেল
দুই বছর ৷
...
সামনের সপ্তাহে আমাদেসামনের সপ্তাহে আমাদের বিয়ে ৷
আহিয়া এখনও আগের মতই রয়ে গেছে ৷
গুন্ডিগিরিটা আগের থেকেও বেড়ে গেছে ৷
কিন্তু এই গুন্ডিগিরির মধ্যে যে কতটা
ভালবাসা লুকিয়ে আছে সেটা আমি এই দুই
বছরে বুঝতে পারছি ৷
আহিয়া যে আমাকে ভালবাসে সেটা সে
আমাকে বুঝতে দেয় না ৷
জানিনা আমার সাথে কেন এমন করে ৷
আহিয়া এখনও আমাকে আগের মতই তুই
তুই করে ডাকে ৷
আর আহিয়া আমাকে সব সময় ঝারির
উপরে রাখে ৷ সব সময় শুধু বলে এটা করিস
না কেন ৷ অইটা করিস কেন ৷
.....
যাই হোক গুন্ডিটাকে একটা ফোন দেই ৷
ফোন দেওয়ার সাথে সাথেই রিসিভ করল ৷
আমি< হ্যালো...কি করছ জানো ?
আহিয়া< অই তরে আমি বলছিলামনা
আমাকে তুই জানো টানো অইসব ডাকবি
না?
আমি< তো কি ডাকব গো ?
আহিয়া< আন্টি ডাকবি সয়তান ছেলে ৷
নাম ধরে ডাকবি সব সময় ( অনেক রাগী
কন্ঠে বলল )
আমি< ওকে আন্টিই ডাকব...অহহ সরি
নাম ধরেই ডাকব ৷
আহিয়া< সয়তান ছেলে তর সয়তানি আমি
বের করব বিয়ের পরে ৷ আর তো মাত্র
তিন দিন ৷
তিন দিন পরেই বুঝতে পারবি আমি কি ৷
এই নিয়ান ওঠ ৷ কয়টা বাজে খবর আছে ৷
আমি< আহহ আম্মু আরেকটু পরে ওঠি না ৷
আম্ম< তুই ওঠবি নাকি আমাকে পানি
আনতে হবে?
আমি< আরে ওঠতেছি তো পানি আনতে
হবে না ৷
এত সকাল সকাল ওঠে কি করব আম্ম?
আম্মু< আজ না তর গায়ে হলুদ ৷
আমি< গায়ে হলুদ তো রাতে এত সকালে
কি করব?
আম্মু< এখন ওঠে ফ্রেশ হয়ে তর
আন্টিকে নিয়ে আয় ইয়ারর্পোট থেকে ৷
আমি< আন্টি মানে? কোন আন্টি?
আম্মু< তর মীরা আন্টি ৷
মীরা আন্টি মানে?
অই পিচ্চিটাও আসবে নাকি?
অ মাই গড....তাহলে তো আমি শেষ ৷
আসলে আমি পিচ্চি বলছি আমার ফুফাত
বোনকে ৷ ছোট বেলা থেকেই আমার পিছে
পিছে লেগে তাকত ৷
আমাকে কোথাও একা পেলেই জড়িয়ে আমাকে কোথাও একা পেলেই জড়িয়ে ধরত
৷
চার বছর হল ওরা লন্ডন চলে গেছে ৷
আজ নাকি আবার আসছে ৷
এখন যদি আবার আগের মত করে ৷ তাহলে
তো আহিয়া আমাকে শেষ করে ফেলবে ৷
এতকিছু না ভেবে এদেরকে আগে নিয়ে আসি
ইয়ারর্পোট থেকে ৷
ইয়ারর্পোট পৌছতেই দেখলাম সবাই
দাড়িয়ে আছে সবাই ৷
কিন্তু সাইমা কোথায় (সেই পিচ্চিটা
আমার ফুফাত বোন) মনে হয় আসে নাই ৷
আহহ ভালই হয়েছে ৷ হাফ ছেড়ে বাছলাম ৷
ওদের পাশে দেখছি একটা মেয়েও দাড়িয়ে
আছে ৷ অই মেয়েটা আবার কে?
ওদের সামনে যেতেই দেখলাম , আরে অই
মেয়েটা তো সাইমা ৷ এই পিচ্চি এত বড় হল
কি করে ৷
ওর মুখের দিকে তাকিয়ে দেখলাম মুখ গুমড়া
করে দাড়িয়ে আছে ৷
কান্না কান্না ভাব নিয়ে আমাকে বলল,
বিয়ে করছ আর আমাকে একবার জানালেও
না?
আমি< .........(চুপ)
মীরা আন্টি< অই তরা এখানে কি পিসপিস
করছিস বাড়িতে চল ৷
আমি< হুমম আন্টি চলুন ৷ গাড়িতে উঠুন ৷
ওদেরকে বাড়িতে নিয়ে আসার পর সবাই
অনেকদিন পর আন্টিদের পেয়ে ঘিরে ধরল
৷ অনেকে অনেক প্রশ্ন করছে আর
আন্টিরা এক এক করে উত্তর দিচ্ছে ৷
আমার অনেক গড়ম লাগছে তাই ভাবলাম
গুসলটা সেরে নেই ৷ আমার রুমে এসে যেই
না দরজাটা লাগাতে যাব তখনই সাইমা এসে
দরজা ধাক্কা দিয়ে রুমে ডুকে দরজা লাগিয়ে
দিয়ে আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল ৷
আমি সাইমাকে ছাড়ানোর অনেক আমি সাইমাকে ছাড়ানোর অনেক চেষ্টা
করছি কিন্তু সাইমা আমাকেআরও শক্ত
করে জড়িয়ে ধরে বলতে লাগল আমি
তোমাকে অনেক ভালবাসি নিয়ান ৷
আমি জানি তুমিও আমাকে ভালবাস ৷ তুমি
এই বিয়েটা করতে চাইছ না ৷ মামা মামি
তোমাকে জুর করে বিয়েটা করাচ্ছেন ৷
চলনা নিয়ান আমরা পালিয়ে যাই ৷
আমি< তকে কে বলেছে যে আমি এই
বিয়েটা করতে চাইছি না?
সাইমা< আমি তখনই বুঝে গেছিলাম যখন
তোমাকে আমি ইয়ারর্পোটে বিয়ের কথা
জিগ্গেস করেছিলাম তখন তোমাজিগ্গেস করেছিলাম তখন তোমার চুপ
তাকাতেই আমি বুঝে গেছি যে তুমি এই
বিয়েটা করতে চাইছ না ৷
আমি মেয়েটার কথা শুনে হাসব নাকি কাদব
বুঝতে পারছি না ৷
সাইমাকে রুম থেকে বের করে দিয়ে আমি
দরজা লাগিয়ে দিলাম ৷
মেয়েটা সত্যিই হাফ মেন্টাল ৷ আমার চুপ
তাকাতে নাকি বুঝে গেছে আমি ওকে
ভালবাসি ৷ হাহাহাহা.....
এদিকে আমার চিন্তা হচ্ছে যদি আহিয়ার
সামনে আমাকে এরকম ভাবে জড়িয়ে ধরে
তাহলে তো আহিয়া আমাকে মেরেই
ফেলবে ৷
......
রাতে গায়ে হলুদের অনুষ্টান শেষে
বন্ধুদের সাথে কিছুক্ষন আড্ডা দিয়ে
ঘুমতে আসলাম ৷
বিছানায় শুধু শরিরটা লাগিয়েছিলাম
তখনই দরজায় টকটক আওয়াজ করছে কে
যেন ৷
দরজার বাইরে থেকে কে যেন আমায়
ডাকছে ৷
আমি গলা উচিয়ে বললাম....কে?
কোনো উত্তর পেলাম না ৷
আরও জুরে জুরে দরজা ধাক্কাতে লাগল ৷
আমি বিছানা থেকে ওঠে গিয়ে দরজা
খুলতেই সাইমা রুমে ডুকে দরজা আটকিয়ে
দিল ৷
আমি< এই তুই এত রাতে আমার রুমে কি
করছিস?
সাইমা< আমি আজ তোমার সাথে ঘুমাব ৷
আমি< কিহহহ...! পাগল হয়েছিস নাকি ?
সাইমা< হুমম আমি তোমার জন্য পাগল
হয়ে গেছি ৷
আমি< সাইমা বোন পিল্জ এমন করিস না
৷ তর রুমে গিয়ে ঘুমা ৷ কেউ দেখে ফেললে
কিনা কি ভাববে ৷
সাইমা< যে যাই ভাবুক আমি তোমার
সাথেই ঘুমাব ৷
( আসলে মেয়েটার মাথায় সত্যি সত্যি
সমস্যা আছে ৷ ছোট বেলা থেকেই কোন
সময় কি করে নিজেও জানে না )
আমি< পিল্জ বোন তোর পায়ে পরি
তুই তর রুমে যা ৷
সাইমা< এই কি করছ পা ছাড় আমি
যাচ্ছি ৷
আহহহ....আল্লাহ
যা বোন যা তাড়াতাড়ি যা কেউ দেখার
আগে ৷
সাইমা বেড়িয়ে যাওয়ার পর আমি দরজা
লাগিয়ে আবার বিছানায় গা এলিয়ে
দিলাম ৷
টেনশনে ঘুম আসছে না মেয়েটা যদি
বিয়ের পর এই রকম করে তাহলে আহিয়া
তো আমায় আস্ত খেয়ে ফেলবে ৷
সকালে মোবাইলের আওয়াজে ঘুম ভাঙল ৷
এত সকালে আবার কে ফোন দিল ৷
নাম্বারটা না দেখেই রিসিভ করে
বললাম....আপনি যাকে ফোন দিয়েছেন সে
এখন গভীর ঘুমে ব্যাস্ত আছে ৷ অনুগ্রহ
করে কিছুক্ষন পরে ফোন দিয়েন ৷
কথাটি বলেই ফোনটা কেটে দিলাম ৷ ঘুম
লেগে আসছিল তখনই আবার মোবাইল
বেজে উঠল ৷
এবার নাম্বারটা দেখলাম, আরে গুন্ডিটা
ফোন দিয়েছে ৷ আমি এসব কি বলে
ফেলেছি ৷
ভয়ে ভয়ে ফোনটা রিসিভ করলাম ৷
আহিয়া< অই আজকে না তর বিয়ে আর তুই
পরে পরে ঘুমাচ্ছিস ?
আমি< কার বিয়ে গো?
আহিয়া< দেখ আজ আমায় রাগাস না ৷ আজ
আমি রাগা রাগী করতে চাইছি না ৷ নিজের
ভাল চাস তো তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠে যা
৷
আমি< আচ্ছা আচ্ছা ওঠছি এত রাগ
দেখানোর কি আছে ৷
আহিয়া< হুম তাড়াতাড়ি ওঠ ৷
এই কথাটা বলেই ফোনটা কেটে দিল ৷
আমি বিছানা থেকে ওঠে ব্রাশ হাতে নিয়ে
ব্রাশ করতে করতে রুম থেকে বের হলাম ৷
রুম থেকে বের হতেই আম্মু সামনে পড়ল ৷
আম্মু< কিরে তুই এখন ওঠছিস ঘুম থেকে ?
আমি তো ভাবলাম তুই আরও আগেই ওঠে
গেছিস তাই তোকে ডাকলাম ও না ৷
তাড়াতাড়ি কর 10টা বেজে গেছে ৷ 1টার
সময় তোদের কনে বাড়ি যেতে হবে ৷
ওদিকে দেখ সবাই রেডি হওয়া শুরু করে
দিয়েছে ৷ আর তুই বর হয়েও
কোনো খবর নাই ৷
কথায় আছে না... যার বিয়ে তার নাম নাই
পাড়া পরশির ঘুম নাই ৷
আমি< আরে আম্মু যাচ্ছি তো এত
বকাবকি করার কি আছে ৷
......
বন্ধুরা সবাই আমাকে পান্জাবী পাজামা
পরাচ্ছে ৷
আমি< কিরে এত ভারী কেন এই পান্জাবী
এটা পড়ে আমাকে সারাদিন থাকতে এটা পড়ে আমাকে সারাদিন থাকতে এটা
পড়ে আমাকে সারাদিন থাকতে পড়ে আমাকে সারাদিন থাকতে হবে
আমি< কিরে এত ভারী কেন এই পান্জাবী
এটা পড়ে আমাকে সারাদিন থাকতে এটা পড়ে আমাকে সারাদিন থাকতে এটা
পড়ে আমাকে সারাদিন থাকতে পড়ে আমাকে সারাদিন থাকতে হবে
নাকি?
সায়ান< হুমম রে মামু ৷ বুঝবি আজকে বিয়ে
করা কত মজা লাগে ৷
আমার যখন বিয়ে হয়েছিল আমাকে
একেবারে মূর্তি বানিয়ে বসিয়ে রেখেছিল ৷
আম্মু এসে বলল, কিরে তোদের শেষ
হয়েছে কি? এদিকে বরযাত্রীরা তো সবাই
বেড়িয়ে পরেছে ৷
সায়ান< জ্বি আন্টি শেষ ৷
আম্মু< তাহলে তাড়াতাড়ি আস ৷
....
আম্মু আব্বুকে সালাম করে কনের বাড়ি
যাওয়ার জন্য গাড়ীতে ওঠলাম ৷
হঠাৎ সাইমা এসে বলল, এই তোমরা সর
আমি নিয়ানের সাথে যাব (সাইমা আমার
থেকে ছোট হলেও আমাকে সব সময় নাম
ধরেই ডাকে)
সাইমা সবাইকে সরিয়ে আমার পাশে চেপে
বসল ৷
আমি< এই সাইমা তুই মেয়েদের গাড়ীতে
যাবি ৷ আমার গাড়ীতে কেন আসলি?
সাইমা< না আমি তোমার সাথেই যাব ৷
আমি< আচ্ছা আমার সাথেই যাবি ৷ কিন্তু
আমার একটা শর্ত আছে ৷
সাইমা< কি শর্ত ?
আমি< তুই বিয়ে বাড়িতে আমার থেকে দশ
হাত দূরে থাকবি?
সাইমা কিছুক্ষন কি যেন ভাবল ৷ তারপর
বলল....আচ্ছা ঠিক আছে৷
....
40মিনিট জার্নির পরে আহিয়াদের বাড়িতে
আসলাম ৷
গাড়ীতে এসি থাকা শত্তেও আমি অনেক
ঘেমে গেছি ৷
কারণ গাড়ীতে সাইমা আমাকে এমন ভাবে
চেপে বসেছিল যে আমি একটুও নাড়চাড়া
করতে পারি নাই ৷
....
অনেক্ষন ধরে একা একা বসে আছি ৷
সালার বন্ধুরা আমাকে একা ফেলে মেয়ে
পটাতে চলে গেছে ৷
কিছুক্ষন পর কাজী সাহেব এসে আমাকে
কবুল পড়িয়ে গেলেন ৷
তারপর সবাই এসে আমাকে কনের কাছে
মানে আহিয়ার কাছে নিয়ে গেল ৷
আহিয়াকে কনে রূপে দেখে আমি আবারও
ক্রাশ খেলাম ৷
নতুন করে আহিয়ার প্রেমে পরলাম ৷
আমি হা করে আহিয়ার দিকে তাকিয়ে
তাকলাম ৷ আহিয়া আর আমি সোফাতে
বসাছিলাম ৷ হঠাৎ আহিয়া আমাকে কমরে
জুরে একটা চিমঠি কাটল ৷ আর আমাকে
কানে কানে বলল এমন হা করে কি দেখিস ৷
আমি আহিয়ার চিমঠি খেয়ে সবার সামনেই
জুরে চিৎকার দিয়ে উঠলাম ৷
আহিয়ার বান্ধবীরা বলল কি হল দুলাভাই
এত জুরে চিৎকার দিয়ে উঠলেন কেন?
আমি< না ম মানে পা পায়ে কি যেন কামর
দিল ৷
....
কনে বিদায়ের সময় আহিয়ার সেকি কান্না ৷
ওর কান্না দেখে আমার মনে হল এই রকম
কাদতে আমি কাকে যেন দেখেছিলাম ৷
এই কান্না আমার অনেক পরিচিত মনে হল
৷
আহিয়ার বাবা আহিয়াকে আমার হাতে তুলে
দিলেন ৷
....
সারাটা রাস্তা কান্না করতে করতে এসেছে
আহিয়া ৷
বাড়িতে আসার পর সবাই কনেকে নিয়ে
ব্যাস্ত
হয়ে পড়ল ৷
আমি যে বর তার কোনো খবরই নাই ৷
এমনকি আমার নিজের আম্মুও আমার
দিখে চেয়েও দেখল না সে তার নতুন
মেয়েকে নিয়ে ব্যাস্ত ৷
....
রাতে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে দিতে
কখন যে 11টা বেজে গেছে খেয়ালই করি
নাই ৷ আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি বাসর গড়ে
আমি যাব না ৷
অনেক ভয় করছে গুন্ডিটা কি যে করব ওর
পাশে গেলে ৷ তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি
অই রুমে কিছুতেই যাব না ৷
বন্ধুরা অনেক জুড়াজুড়ি করছে যে
তাড়াতাড়ি তর রুমে যা তর বউ একা একা
বসে আছে মনে হয় ৷
কিন্তু আমি জেদ ধরে বসে আছি যে আমি
বাসর গড়ে যাব না ৷
শেষ পর্যন্ত বন্ধুরা আর কোনো উপায়
না পেয়ে আমাকে সবাই ধরে তলে নিয়ে
যেতে লাগল ৷
আমি বললাম, আরে কি করছিস তরা নামা
আমাকে নামা আমি হেটেই যাব ৷
হেটে হেটে আমার রুমের দরজা পর্যন্ত
আসলাম ৷ কিন্তু ভিতরে যেতে ভয় করছে ৷
বন্ধুরা আমাকে দরজার সামনে দাড়িয়ে
থাকতে দেখে জুরে ধাক্কা দিয়ে রুমে ডুকিয়ে
বাইরে থেকে দরজা লাগিয়ে দিল ৷ আমার
তো অবস্থা খারাপ হাত পা কাপছে ৷ দরজা
ভিতর থেকে লাগিয়ে দিয়ে আহিয়ার দিকে
তাকালাহেটে হেটে আমার রুমের দরজা
পর্যন্ত আসলাম ৷ কিন্তু ভিতরে পর্যন্ত আসলাম ৷ কিন্তু ভিতরে পর্যন্ত
আসলাম ৷ কিন্তু ভিতরে যেতে
ভয় করছে ৷ বন্ধুরা আমাকে দরজার সামনে
দাড়িয়ে থাকতে দেখে জুরে ধাক্কা দিয়ে
রুমে ডুকিয়ে বাইরে থেকে দরজা লাগিয়ে
দিল ৷ আমার তো অবস্থা খারাপ হাত পা
কাপছে ৷ দরজা ভিতর থেকে লাগিয়ে দিয়ে
আহিয়ার দিকে তাকালামা ৷
আহিয়া ইয়া বড় ঘুমটা দিয়ে মাথা নিচু করে
বসে আছে ৷
আমি ভয়ে ভয়ে আহিয়ার দিকে এগিয়ে
গেলাম ৷
আহিয়া আমাকে অবাক করে দিয়ে বিছানা
থেকেওঠে এসে আমার পা ধরে সালাম করল
৷
আমি< এই এই কি করছ ওঠ ৷
আহিয়া< স্বামীর পায়ের নিচে স্ত্রীর
বেহেশত ৷
তুমি রুমে আসতে এত দেরি করলে কেন?
আহিয়ার এ রকম ব্যাবহার দেখে আমি থ
হয়ে দাড়িয়ে রইলাম ৷
যে মেয়েটা আমাকে তুই তুই ছাড়া ডাকত না
আজ সেই মেয়েই আমাকে তুমি করে ডাকছে
৷
আহিয়া< কি অবাক হলে তো ৷ তোমাকে
আমি বলেছিলাম না বিয়ের পরই বুঝতে
পারবে আমি কে ৷
আমার চোখের দিকে তাকিয়ে দেখ তো
আমায় চিনতে পার কিনা?
আমি আহিয়ার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে
তাকার পর আমার একটা সন্দেহ হল ৷
আমি মেয়েটাকে পিছন দিকে দাড় করিয়ে
ব্লাউজের হুক খুলতে লাগলাম ৷
(খারাপ কিছু ভাববেন না এখানেও রহস্য
আছে)
একটা হুক খুলার পর অনেক বড় একটা শক
খেলাম ৷
আমি< তিথি তুই???????
আপনারা হয়তো ভাবছেন এই তিথিটা
আবার কে??
আসলে আহিয়াই হচ্ছে সেই তিথি ৷
চলেন ঘুড়ে আসি আট বছর আগে ৷
....
আট বছর আগে তিথি আমাদের পাশের
বাসায় ওর মামা মামীর সাথে ভাড়াটিয়া
থাকত ৷
বাসাটা আমাদেরই !!
তখন তিথি অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত !
আর আমি ssc পরিক্ষা দিয়ে ইন্টারে ভর্তি
হয়েছিলাম ৷
তিথি সব সময় আমাদের বাসাতেই থাকত ৷
আম্মুr সাথে তিথির অনেক ভাব ছিল ৷
আম্মুর সাথে কাজে সাহায্য করত ৷
তিথিকে আমার একদম সহ্য হত না ৷
আমার সব জিনিসে ভাগ বসাত ৷ আর সারা
দিন আমার পিছে পিছে লেগে থাকত ৷
আর আম্মু তিথির সাথে এমন ব্যবহার
করত যেন তিথি তার ছেলের বউ ৷
.....
আজ আমার কলেজের প্রথম দিন ৷ তো
রেডি হয়ে কলেজে যাওয়ার জন্য বাসা
থেকে বের হয়েছি এমন সময় পাশের বাসার
আন্টি ডাক দিলেন (তিথির মামী )
পেছনে তাকিয়ে দেখি তিথির মামী আর
তিথি স্কুল বেগ নিয়ে দাড়িয়ে আছে ৷
আমি< জ্বি আন্টি বলেন?
আন্টি< তুমি কি কলেজে যাচ্ছ বাবা?
আমি< জ্বি আন্টি ৷
আন্টি< আজ তিথির মামা বাসায় নেই তুমি
কি তিথিকে একটু স্কুলে নামিয়ে দিতে
পারবে?
এই পিচ্চিটাকে আবার বুঝি কলেজে পৌছে
দিতে হবে ! অসহ্য একটা (মনে মনে
বললাম)
পিচ্চি দেখছি আজ অনেক সেজেছে ৷ মনে
হয় যেন কোথাও বেড়াতে যাচ্ছে ৷
আমি< আচ্ছা আন্টি ঠিক আছে ৷ এই তিথি
আয় ৷
তিথিকে নিয়ে রিক্সাতে উঠলাম ৷
আমি যতটা সম্ভব এই পিচ্চির পাশ থেকে
সরে বসলাম ৷
তিথি< এই এত চেপে বসছ কেন পড়ে যাবে
তো ৷
আমার হাত ধরে টান দিয়ে নিজের পাশে
নিয়ে গেল তিথি ৷
....
20মিনিট পর রিক্সা তিথির স্কুলের পাশে
এসে থামল ৷ তিথি রিক্সা থেকে নেমে গিয়ে
বলল , যাওয়ার সময় আমাকে একটু নিয়ে
যেও পিল্জ !
আমি< আচ্ছা ! তর স্কুল কয়টায় ছুটি হয় ?
তিথি< 2টায় ৷
....
তিথিকে স্কুলে পৌছে দিয়ে আমি আমার
কলেজে চলে আসলাম ৷
আজকে প্রথম দিন বলে বেশি কাল্স হল
না ৷
বন্ধুদের সাথে কিছুক্ষন আড্ডা দিয়ে
তিথির স্কুলে চলে আসলাম ৷
কিন্তু তিথিকে তো কোথাও দেখতে
পাচ্ছি না ৷
ভিতরে ডুকে দেখলাম তিথি তার
বান্ধবীদের সাথে বসে অড্ডা দিছ্চে ৷
আমাকে দেখেই ওর একটা বান্ধবি বলল,
অই তিথি দেখ তর বয়ফ্রেন্ড চলে এসেছে ৷
আমি কিছু বললাম না ৷
তিথিকে নিয়ে রিক্সাতে উঠলাম ৷
আমি< এই তিথি তুই তর বান্ধবীদের
আমার কথা কি বলেছিস ৷(রাগী ভাব নিয়ে
বললাম)
তিথি< কই কিছু বলি নাই তো ৷
আমি< তাহলে আমাকে তর বান্ধবী তর
বয়ফ্রেন্ড বলল কেন?
তিথি< তোমাকে বলে নাই তো ৷ রিয়া
জেনিয়ার বয়ফ্রেন্ড এর কথা বলেছে
(মিথ্যা বলল)
আমি আর কিছু বললাম না ৷
....
বিকালে শুয়ে শুয়ে মোবাইল টিপছিলাম ৷
হঠাৎ তিথি হাতে একটা বাটি নিয়ে রুমে
ডুকল ৷
তিথি< এই নাও তোমার জন্য পায়েস
বানিয়ে এনেছি ৷
আমি< এই তুই সব সময় আমার জন্য
এইগুলা বানাস কেন? আমি কি হই তর যে
আমার জন্য তোকে এগুলা বানাতে হবে ৷
তিথি< তুমিই তো আমার সব (আস্থে
আস্থে বলল)
তবুও আমি শুনে ফেললাম ৷
আমি< এই কি বললি তুই?
তিথি আমার দিকে আড় চোখে চেয়ে থাকল
৷
হঠাৎ আমাকে অবাক করে দিয়ে গালে চুমু
খেয়ে আস্থে আস্থে রুম থেকে বেড়িয়ে
যেতে লাগল ৷
পিচ্চি একটা মেয়ে আমাকে চুমু খেল !
এই কথাটা ভাবতেই আমার সারা শরির
রাগে জ্বলছে ৷
তাই রাগ কন্টল না করতে পেরে হাতের
কাছে একটা দাড়ালো ফল কাটার চুড়ি ছিল
৷
সেটা ছুড়ে মারলাম তিথির দিকে ৷
চুড়িটা গিয়ে পড়ল তিথির পিটের উপর ৷
তিথি অনেক জুরে ও মাগো বলে চিৎকার
দিয়ে উঠল ৷
চুড়িটা অনেক জুরে ছুডে মারার কারণে
তিথির জামা ছিড়ে গিয়ে অনেকটা কেটে
রক্ত বের হতে লাগল ৷
এদিকে তিথি জুরে জুরে কান্না করতে
লাগল ৷
আম্মু ওর কান্না শুনে আমার রুমে আসল ৷
আমিও এগিয়ে গেলাম ৷
অনেক রক্ত পড়ছে ৷
তিথি রক্ত দেখে অজ্ঞান হয়ে গেল ৷
আম্মু তিথির রক্ত দেখে কান্না করতে
লাগল ৷
তিথিকে আমি পাজোকোলা করে তুলে
গাড়ীতে এনে তুললাম হাসপাতালে নিয়ে
যাওয়ার
জন্য ৷
হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তিথির মামা
মামীও ছুটে আসলেন হাসপাতালে ৷
অনেক জায়গা কেটে গেছিল তাই তিনটে
সেলাই লাগল তিথির কেটে যাওয়া স্থানে ৷
তিথির জ্ঞান পিরে আসার পর তিথিকে
সবাই জিজ্ঞেস করতে লাগল কিভাবে
কাটল ৷
আমি কিছু বলতে যাব তখনই তিথি আমাকে
আটকে দিয়ে বলল...
তিথি< পড়ে গিয়ে কিসের সাথে লেগে কেটে
গেছে খেয়াল করি নাই ৷
মেয়েটার কথা শুনে আমি অবাক হয়ে
গেলাম ৷
আমাকে বাচাতে এই পিচ্চিটা মিথ্যে বলল !
আর আমিই কি না....
আমার অনেক খারাপ লাগতে লাগল ৷
....
রাতেই তিথিকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে
নিয়ে আসা হল ৷
রাতে ঘুম আসছে না আমার জন্য
মেয়েটাকে এত কষ্ট পেতে হল ৷
সকালে গিয়ে সরি বলে আসতে হবে ৷
সকালে আম্মুর ডাকে ঘুম ভাঙল ৷
তিথির কথা মনে পড়তেই ভাবলাম একবার
দেখে আসি ৷
ঘড়ের ভিতরে ডুকে দেখলাম, তিথির মামা
মামী সুফাতে বসে আছেন ৷
আমি তিথির মামীকে বললাম,
আমি< আন্টি তিথি কই?
আন্টি< ওর রুমে বাবা ৷
আমি< আচ্ছা আন্টি ! আমি তিথিকে দেখে
আসি ৷
আন্টি< আচ্ছা যাও বাবা ৷
আমি তিথির রুমে গিয়ে দেখলাম তিথি
একদিকে কাত হয়ে শুয়ে আছে ৷
তিথি আমাকে দেখে মূখ গুমড়া করে বলল ,
আমাকে আবার মারতে আসছ?
আমি< তিথি কলকের ঘটনার জন্য সরি রে
৷
আমাকে মাফ করে দে পিল্জ ৷
তিথি< মাফ করতে পারি ! তবে একটা শর্তে
৷
আমি< কি শর্ত?
তিথি< এখন থেকে আমাকে ভালবাসতে
হবে ৷
আমি< দেখ তিথি তুই এখনও অনেক ছোট !
এরকম পাগলামী করিস না ৷
আর আমার প্রতি তর যে ভালবাসা আসলে
এটা ভালবাসা না এটা এক ধরনের ভাললাগা
৷
তিথি< তুমি বলতে চাচ্ছ আমি এখনও
পিচ্চিই রয়ে গেছি ৷ আচ্ছা দেখে নিও
একদিন তোমাকে এই পিচ্চিটাকেই বিয়ে
করতে হবে (কান্না করতে করতে বলল)
আমি আর কিছু না বলে চলে আসলাম ৷
....
আজ সারাদিন মন খারাপ ছিল ৷
রাতেও ঘুম আসছে না শুধু তিথির কথা মনে
পড়ছে ৷
মেয়েটা মনে হয় আমাকে সত্যই ভালবাসে ৷
বিছানায় অনেক গড়াগড়ি করছি কিন্তু ঘুম
আসছে না ৷ শুধু তিথির কথা মনে পড়ছে ৷
হয়তো আমিও তিথিকে ভালবেসে ফেলেছি
৷
যাই হোক এখন ঘুমানোর চেষ্টা করি ৷
সকালে তিথিকে গিয়ে বলব যে আমিও তাকে
ভালবেসে ফেলেছি ৷৷
সকালে ঘুম থেকে ওঠতে অনেক দেরি হয়ে
গেল ৷
ফ্রেশ হয়ে তিথিদের বাসার সামনে গিয়ে
দেখি তাদের বাসায় তালা জুলানো ৷
আমি আম্মুকে এসে জিজ্ঞেস করলাম
এদের বাসায় তালা জুলানো কেন?
আম্মু যা বলল তা শনে আমি বড় একটা
শক খেলাম ৷
আম্মু বলল ওরা নাকি সকালে চলে গেছে
বাসা থেকে ৷
আমি< কোথায় গেছে আম্মু?
আম্মু< সেটা কি আমায় বলে গেছে নাকি
(রাগী কন্ঠে)
.....
সেদিনের পর থেকে তিথিকে অনেক খুজেছি
কিন্তু কোথাও খুজে পাই নাই !!
আর এতদিন তিথি আমার চোখের সামনে
থাকা সত্তেও আমি তাকে চিনতে পারি
নাই !
আজ যখন আমাকে বলল ওর চোখের দিখে
তাকিয়ে দেখেত তখন ওর চোখের দিখে
তাকিয়ে আমি কিছুটা বুঝতে পারি যে ওই
তিথি ৷
তারপর যখন আহিয়ার ব্লাউজের হুক খুলে
সেই সেলাইয়ের দাগ দেখতে পাই তখনই
আমি শিওর হয়ে যাই আহিয়া হল সেই তিথি
৷
আমি< এতদিন আমাকে বললে নাই কেন যে
তুমিই তিথি ৷ যান তোমাকে আমি কত
জায়গায় খুজেছি ৷
তিথি< কেন খুজেছিলে?
আমি< তোমাকে যে একটা কথা বলা হয়
নাই ৷
তিথি< কি কথা? এখন তো আমাকে পেলে
এখন বলো ৷
আমি হাটু গেড়ে বসে বললাম,
তোমাকে অনেক ভালবাসি তিথি
তুমি কি আমার বউ হবে ! অহ সরি তুমি
তো আমার বউ হয়েই গেছ ৷
তিথি< আচ্ছা সেদিন তোমাকে একটা কিস
করেছিলাম বলে তুমি আমাকে চুড়ি ছুড়ে
মেরেছিলে না ৷৷
এখন তো অনেক কিছু করব ! এখন কি
করবে !!
বলেই তিথি আমাকে ধাক্কা দিয়ে
বিছানাতে পেলে তিথি আমার উপরে ওঠে
আসল ৷
(বাকীটা ইতিহাস)
*সমাপ্ত*
সংগৃহিত......( মহিউদ্দিন মামুন )
Comments
Post a Comment